নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজার শহরের মাংস ব্যবসায়ী রাজামিয়াকে মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে আট মাসের সাজা প্রদান করা হয়েছে বলে ভ্রাম্যমান আদালতের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেন মাংস ব্যবসায়ী সমিতি। সুস্থ গরুকে কোন রকম পরীক্ষা ছাড়াই জবাই করার পর অসুস্থ বলে ব্যবসায়ীকে সাজা দেন ম্যাজিস্ট্রেট। রোববার সকাল ১১ টায় কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ তুলেন পৌরসভার মাংস ব্যবসায়ী সমিতি।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সভাপতি নুরুল আলম। তিনি বলেন- গত মঙ্গলবার রাতে শহরের ঘোনার পাড়া এলাকায় রাজামিয়ার বাসায় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত । অভিযানে অসুস্থ গরু জবাই করে মাংস বিক্রি ও মজুদ করা হয়েছে মর্মে রাজাকে আটক করে আট মাসের সাজা দেওয়া হয়। স্থানীয় কয়েকজন যুবক চাঁদা আদায়ে ব্যর্থ হওয়ায় প্রশাসনকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাজা প্রদানে প্ররোচিত করেছে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন- দীর্ঘদিন ধরে রাজামিয়া বৈধ অনুমতি নিয়ে সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছে। কিন্তু কোনো রকম তথ্য যাচাই না করে ও প্রমাণ ছাড়াই তাকে সাজা প্রদান করা হয়েছে। যে পশুকে অসুস্থ বলা হয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট পশুটির মাংস পরীক্ষা করেনি। এর সুষ্ঠ বিচারের দাবীকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর আমরা মানববন্ধন করেছি। এছাড়া আগামী সোমবারের মধ্যে উদ্দেশ্যমূলক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হলে ব্যবসায়ী সমিতি অনির্দিষ্টকালের জন্য মাংস বিক্রিসহ বিভিন্ন কর্মসূচির সিন্ধান্ত গ্রহণ করবে। পাশাপাশি মধ্যরাতে উদ্দেশ্যমূলক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা কতটুকু স্বচ্ছ তা খতিয়ে দেখার দাবী এবং ঘটনা অবহিত করে ডিসি বরাবরে স্মারকলিপিও প্রদান করা হয়েছে রোববার।

ব্যবসায়ীরা বলেন- সাজা দেয়ার ছয়দিন অতিবাহিত হলেও মামলার কোনো নথিপত্র সরবরাহ করা হচ্ছে না। যার কারণে আপিলের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। পরিবারের একমাত্র আয়ের মাধ্যমে কারাগারে থাকায় তার পরিবারে নেমে এসেছে মানবেতর জীবন-যাপন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী সদর সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট নাজিম উদ্দিন বলেন- কুকুরে কামড়ানো পাগলা গরু জবাই করে বিক্রি ও মজুদের দায়ে রাজামিয়াকে সাজা দেয়া হয়েছে। পাগলা গরু জবাই করে বিক্রি ও মজুদের কথা স্বীকার করেছে রাজা মিয়া। তার স্বীকারোক্তির ভিডিও সংরক্ষণে রয়েছে। এমনকি যার কাছ থেকে পাগলা গরুটি কেনা হয়েছে তার স্বীকারোক্তিও সংরক্ষণে রয়েছে। এখানে উদ্দেশ্যমূলক বা প্রভাবিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। গরুর মাংস ডাক্তারের মাধ্যমে পরীক্ষাও করা হয়েছে।